SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং - শেয়ার, বন্ড ও ডিবেঞ্চার | NCTB BOOK

যেসব বিনিয়োগকারী শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে নির্দিষ্ট হারে আয় প্রত্যাশা করে, তাদের জন্য অগ্রাধিকার শেয়ার একটি ভালো বিনিয়োগ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে আমাদের দেশে অগ্রাধিকার শেয়ারের সংখ্যা খুব বেশি দেখা যায় না। সাধারণ শেয়ারের ন্যায় অগ্রাধিকার শেয়ারের নিজস্ব কিছু স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ক) মালিকানা : অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের কোম্পানির পুরোপুরি মালিক বলা হয় না। তাদেরকে সাধারণ শেয়ার মালিক এবং বন্ড ও ঋণপত্র মালিকদের মাঝামাঝি অবস্থানে বিবেচনা করা হয়।

খ) রূপান্তরযোগ্যতা : অনেক অগ্রাধিকার শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করার বিকল্প সুযোগ থাকে। ফলে বিনিয়োগকারী ইচ্ছে করলে এই সুযোগ ব্যবহার করে সাধারণ শেয়ার মালিক হতে পারে।

বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রাধিকার শেয়ারের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। নিম্নে অগ্রাধিকার শেয়ারের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা করা হলো :

সুবিধা

ক) নির্দিষ্ট হারে আয় : অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকরা নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পায়। ফলে শেয়ার মালিকদের আয়ের অনিশ্চয়তা কম থাকে।

খ) মুনাফা আয়ের উপর অগ্রাধিকার : লভ্যাংশ প্রদানে অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকরা সাধারণ শেয়ার মালিকদের লভ্যাংশ প্রদানের আগে অগ্রাধিকার পায়।

গ) সম্পদের উপর দাবি: কোম্পানির অবসায়ন বা বিলুপ্তির সময় সম্পদের উপর অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের দাবি সাধারণ শেয়ার মালিকদের দাবির পূর্বে বিবেচনা করা হয়। তবে অবশ্যই ঋণপত্র মালিকদের দাবির পর তাদের দাবি পূরণ করা হয়।

অসুবিধা

ক) নিয়ন্ত্রণ: অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের কোনো ভোটাধিকার থাকে না। ফলে অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের কোম্পানির উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

খ) সীমিত আয় : অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের আয় হার নির্দিষ্ট থাকে। ফলে কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা করলে ও অগ্রাধিকার শেয়ার মা অলিকরা এর কোনো অংশ পায় না ।

Content updated By